Posts

Showing posts from June, 2016

বাস্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার (Steam Engine)

Image
খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে আলেকজান্দ্রিয়াতে হিরো সর্বপ্রথম বাষ্পীয় শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করেন। তিনি ‘এমলোপল’ নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এটি স্টিম ইঞ্জিনের কাছাকাছি হলেও এটিকে বাস্তবে কোনো কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। ১৬৪০ সালে মার্কুইস অব উর্সেস্টার, ১৬৮৭ সালে ডেনিস পাপিন এবং ১৬৯৮ সালে টমাস সার্ভেরি প্রত্যেকেই একটি করে বাস্পীয় ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হিরোর মতো এদের তৈরি স্টিম ইঞ্জিনও অত্যন্ত ধীরগতির এবং একটানা কার্যকর ছিল না। স্কটল্যান্ডের জেমস ওয়াট প্রথম প্রথম দিকের তৈরি স্টিম ইঞ্জিনগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেগুলোর পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ১৭৬৯ সালে তৈরি করেন বাস্পীয় ইঞ্জিন। এটি আগের সব স্টিম ইঞ্জিনের চেয়ে কার্যকরী হলেও ১৭৭৪ সালের আগে ওয়াট তার আবিষ্কারকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন নি। প্রথম দিকে ওয়াটের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি লেদ ও স্পিনিং মেশিনে চালানোর কাজে ব্যবহার হলেও পরে ট্রেন ও জাহাজ চালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

বনসাই (Bonsai)

Image
‘বনসাই’ (Bonsai) বর্তমানে একটি পরিচিত শব্দ। এর অর্থ ‘উদ্ভিদ নিয়ে শিল্প’। কারো কারো মতে, চীনা শব্দ ‘বন’ মানে পাত্র এবং ‘সাই’ মানে জন্মানো অর্থাৎ পাত্রে জন্মানো গাছ। জাপানে এর বিকাশ হলেও তার মূল কিন্তু চীনে। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে চীনে বড় বড় গাছকে কাটছাঁট করে ছোটখাটো ও সুদৃশ্য নয়নাভিরাম করে রাখার প্রচলন ছিল। সৌন্দর্যপ্রিয় জাপানিরা সেই পদ্ধতিটাকে উন্নত করে ছোট্ট পটে বিশাল মহীরুহকে নিয়ে আসে সবার সামনে। ছোটর মধ্যে বড়কে ধারণ করার এক শিল্প হলো ‘বনসাই’। প্রাকৃতিক আদিম সৌন্দর্যকে একেবারে হাতের মুঠোয় ছোট্ট পরিসরে রাখা হয় এর মাধ্যমে। আসল গাছের জীবন্ত মিনিয়েচার করা হলো বনসাইয়ের কাজ। এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র অবয়বের একটি বয়স্ক বটগাছকে অনায়াসেই টিপটে রাখা যায়। ফুলে ফুলে লাল হয়ে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া গাছকে রাখা যায় জানালার পাশে। ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে চীনে উঁচু পর্বতে কিংবা সমুদ্রের তীরে প্রবল বাতাস, ভারী তুষারপাত এবং ক্ষয়িষ্ণু মাটির কারণে বড় বড় গাছও অদ্ভুত ছোট আকারের হয়ে যেত। এই বামন গাছগুলোকে কেউ কেউ নিয়ে যেত তাদের বাসায়। অনেকে এ ধরণের গাছ কৃত্রিমভাবেও তৈরি করার চেষ্টা করত। তারা এগুলোর মাধ্যমে স...