Posts

Showing posts with the label Invention

বাস্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার (Steam Engine)

Image
খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে আলেকজান্দ্রিয়াতে হিরো সর্বপ্রথম বাষ্পীয় শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করেন। তিনি ‘এমলোপল’ নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এটি স্টিম ইঞ্জিনের কাছাকাছি হলেও এটিকে বাস্তবে কোনো কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। ১৬৪০ সালে মার্কুইস অব উর্সেস্টার, ১৬৮৭ সালে ডেনিস পাপিন এবং ১৬৯৮ সালে টমাস সার্ভেরি প্রত্যেকেই একটি করে বাস্পীয় ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হিরোর মতো এদের তৈরি স্টিম ইঞ্জিনও অত্যন্ত ধীরগতির এবং একটানা কার্যকর ছিল না। স্কটল্যান্ডের জেমস ওয়াট প্রথম প্রথম দিকের তৈরি স্টিম ইঞ্জিনগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেগুলোর পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ১৭৬৯ সালে তৈরি করেন বাস্পীয় ইঞ্জিন। এটি আগের সব স্টিম ইঞ্জিনের চেয়ে কার্যকরী হলেও ১৭৭৪ সালের আগে ওয়াট তার আবিষ্কারকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন নি। প্রথম দিকে ওয়াটের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি লেদ ও স্পিনিং মেশিনে চালানোর কাজে ব্যবহার হলেও পরে ট্রেন ও জাহাজ চালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

লিফট আবিস্কার

Image
সভ্যতার উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে আধুনিক শহরগুলোতে একতলা-দোতলা ইমারতের পরিবর্তে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। এসব ভবনে ওঠার জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে লিফট অাবিষ্কৃত হয়। তবে একসময় ওপরে ওঠার চেয়ে ভূগর্ভস্থ খনি থেকে খনিজসম্পদ ও অন্যান্য দ্রব্য তোলার জন্য বাষ্পীয় ইঞ্জিনচালিত লিফট ব্যবহার করা হতো। ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই তার ভার্সাই  প্রাসাদে নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ১৭৪৩ সালে সর্বপ্রথম লিফট স্থাপন করেন। তবে নিরাপদ ও অাধুনিক লিফট অাবিষ্কার করেন অামেরিকার ইঞ্জিনিয়ার এলিসা ওটিস ১৮৫২ সালে। একই বছর তিনি নিউইয়র্কে সর্বসাধারণের সম্মুখে লিফটি প্রদর্শনের অায়োজন করেন। ১৮৮৯ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরচালিত সর্বাধুনিক লিফট নিউইয়র্কে অাবিষ্কৃত হয়।

মানুষের তৈরি প্রথম নভোযান

Image
মানুষের তৈরি প্রথম মহাকাশযান বলা যায় ঘুড়িকে। ঘুড়ির মাধ্যমেই মানুষ মহাকাশ জয় করার স্বপ্ন দেখেছিল। চীন দেশের এক কিংবদন্তীতে বলা হয়, মিং সামাজ্যের সময়ে (১৩৬৪-১৬৪৪) ওয়ান হু নামের এক ব্যক্তি বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী মানুষে পরিণত হওয়ার প্রত্যাশায় বিস্ময়কর এক অভিযান চালিয়েছিলেন। তিনি ্একটি চেয়ারের সাথে নিজেকে বেঁধে ‍চেয়ারের প্রতিটি হাতলের সাথে বিশাল বিশাল ঘুড়ি সংযুক্ত করেন। তারপর বারুদপূর্ণ একটি বাঁশের নল নিচে লাগিয়ে দেন। তারপর ভৃত্যদের নির্দেশ দেন নলের নিচে আগুন ধরিয়ে দিতে। আগুন লাগানোর সাথে সাথে প্রচন্ড শব্দ ও প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়া কেটে যাওয়ার পর হু বা তার চেয়ারের কোনো আলামত আর দেখা যায়নি। তখন অনেকেই মনে করেছিল, হু তার চেয়ার সমেত মহাকাশে চলে গেছে। মহাকাশ জয়ে এটিই সম্ভবত প্রথম উদ্যোগ। আর তাতেও ঘুড়ি ছিল প্রধান উপাদান। প্রথম দিকে ‍ঘুড়ি তৈরি হতো কাপড় দিয়ে। তাকে বাঁশ বা কাঠের ফ্রেম আঁটা হতো। কাগজ অাবিষ্কৃত হওয়ার পর তাই ঘুড়ি নির্মাণে ব্যবহার করা হতে থাকে। তবে কাপড়, প্লাস্টিক ইত্যাদির ঘুড়ি এখনো প্রচলিত। সারা বিশ্বে এখন শত শত আকার, প্রকার এবং রঙের ঘুড়ি দেখা যায়। কোনো ক...