বনসাই (Bonsai)
‘বনসাই’ (Bonsai) বর্তমানে একটি পরিচিত শব্দ। এর অর্থ ‘উদ্ভিদ নিয়ে শিল্প’। কারো কারো মতে, চীনা শব্দ ‘বন’ মানে পাত্র এবং ‘সাই’ মানে জন্মানো অর্থাৎ পাত্রে জন্মানো গাছ। জাপানে এর বিকাশ হলেও তার মূল কিন্তু চীনে। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে চীনে বড় বড় গাছকে কাটছাঁট করে ছোটখাটো ও সুদৃশ্য নয়নাভিরাম করে রাখার প্রচলন ছিল। সৌন্দর্যপ্রিয় জাপানিরা সেই পদ্ধতিটাকে উন্নত করে ছোট্ট পটে বিশাল মহীরুহকে নিয়ে আসে সবার সামনে। ছোটর মধ্যে বড়কে ধারণ করার এক শিল্প হলো ‘বনসাই’।
প্রাকৃতিক আদিম সৌন্দর্যকে একেবারে হাতের মুঠোয় ছোট্ট পরিসরে রাখা হয় এর মাধ্যমে। আসল গাছের জীবন্ত মিনিয়েচার করা হলো বনসাইয়ের কাজ। এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র অবয়বের একটি বয়স্ক বটগাছকে অনায়াসেই টিপটে রাখা যায়। ফুলে ফুলে লাল হয়ে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া গাছকে রাখা যায় জানালার পাশে।
ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে চীনে উঁচু পর্বতে কিংবা সমুদ্রের তীরে প্রবল বাতাস, ভারী তুষারপাত এবং ক্ষয়িষ্ণু মাটির কারণে বড় বড় গাছও অদ্ভুত ছোট আকারের হয়ে যেত। এই বামন গাছগুলোকে কেউ কেউ নিয়ে যেত তাদের বাসায়। অনেকে এ ধরণের গাছ কৃত্রিমভাবেও তৈরি করার চেষ্টা করত। তারা এগুলোর মাধ্যমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে চাইত। এই প্রক্রিয়া থেকে বনসাইয়ের উৎপত্তি।
অবশ্য মানুষ কবে নাগাদ কৃত্রিম বনসাই করতে সক্ষম হয় তা জানা যায়নি। কামাকুরা আমলে (১১৮৫-১৩৩৩) চীন থেকে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে বনসাই সংস্কৃতিও জাপানে প্রবেশ করে বলে ধারণা করা হয়। চীনে সৃষ্টি হলেও বনসাইকে আধুনিকরূপে রূপায়ণের পুরো কৃতিত্ব জাপানের। ধারণা করা হয়, ১৮৭৮ সালে প্যারিসের বিশ্বমেলায় বনসাই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারপর ১৯০৯ সালে লন্ডনের প্রদর্শনী বনসাইকে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তবে বিশ্বব্যাপী বনসাইয়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। বাংলাদেশে এর আগমন অনেক পরে।
প্রাকৃতিক আদিম সৌন্দর্যকে একেবারে হাতের মুঠোয় ছোট্ট পরিসরে রাখা হয় এর মাধ্যমে। আসল গাছের জীবন্ত মিনিয়েচার করা হলো বনসাইয়ের কাজ। এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র অবয়বের একটি বয়স্ক বটগাছকে অনায়াসেই টিপটে রাখা যায়। ফুলে ফুলে লাল হয়ে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া গাছকে রাখা যায় জানালার পাশে।
ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে চীনে উঁচু পর্বতে কিংবা সমুদ্রের তীরে প্রবল বাতাস, ভারী তুষারপাত এবং ক্ষয়িষ্ণু মাটির কারণে বড় বড় গাছও অদ্ভুত ছোট আকারের হয়ে যেত। এই বামন গাছগুলোকে কেউ কেউ নিয়ে যেত তাদের বাসায়। অনেকে এ ধরণের গাছ কৃত্রিমভাবেও তৈরি করার চেষ্টা করত। তারা এগুলোর মাধ্যমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে চাইত। এই প্রক্রিয়া থেকে বনসাইয়ের উৎপত্তি।
অবশ্য মানুষ কবে নাগাদ কৃত্রিম বনসাই করতে সক্ষম হয় তা জানা যায়নি। কামাকুরা আমলে (১১৮৫-১৩৩৩) চীন থেকে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে বনসাই সংস্কৃতিও জাপানে প্রবেশ করে বলে ধারণা করা হয়। চীনে সৃষ্টি হলেও বনসাইকে আধুনিকরূপে রূপায়ণের পুরো কৃতিত্ব জাপানের। ধারণা করা হয়, ১৮৭৮ সালে প্যারিসের বিশ্বমেলায় বনসাই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারপর ১৯০৯ সালে লন্ডনের প্রদর্শনী বনসাইকে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তবে বিশ্বব্যাপী বনসাইয়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। বাংলাদেশে এর আগমন অনেক পরে।
Comments
Post a Comment