Posts

Showing posts from 2017

কুস্তির নাম সুমো

Image
সুমো জাপানিদের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক খেলা। এটি পৃথিবীর প্রাচীন খেলাগুলোর একটি যার উদ্ভব সপ্তম খ্রিস্টাব্দে। এটি শুধু খেলাই নয়, এর সাথে জড়িত নানা সংস্কার ও ধর্মীয় চিন্তাধারা। জাপানিদের বিশ্বাস সুমো খেলা আয়োজন করা হলে বেশি বেশি ফসল জন্মে। সুমো খেলোয়াড়রা ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকেও বেশ সম্মানিত ব্যক্তি। আর চাকরির ক্ষেত্রেও সুমোয় পারদর্শিতা বিশেষ গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই সুমো অ্যাসোসিয়েশন প্রতি বছরই বিশাল উৎসবের মধ্য দিয়ে সুমো খেলার আয়োজন করে। প্রতিবার দু’জন প্রতিযোগী খেলায় অংশগ্রহণ করে। এদের রিকিশি বলা হয়। আর প্রতি বছর ছয়টি গ্রান্ড টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এ টুর্নামেন্টগুলো জানুয়ারী, মে ও সেপ্টেম্বর মাসে টোকিওতে এবং একটি করে ওসাকা (মার্চ), নাগোয়া (জুলাই) ও ফকয়োকায় (নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি টুর্নামেন্ট রোববারে শুরু হয় এবং শেষও হয় রোববারে। আর ১৫ দিন ধরে চলে এই খেলা। যে সবচেয়ে বেশি খেলায় জেতে সেই হয় গ্রান্ড চ্যাম্পিয়ন বা ইয়োকোজুনা। তার জন্য রয়েছে বিপুল সম্মান ও অঢেল পুরস্কার। খেলার জায়গাটিকে দোহিও বলা হয়। দোহিওর ব্যাস হয় ১৫ ফুট। এটি মাটি ও বালুর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। জায়গাটিকে তার...

বেয়ার্ড টাপির

Image
ডব্লিউ এম বেয়ার্ড নামে এক আমেরিকান প্রকৃতিবিদ ছিলেন। ১৮৪৩ সালের কথা। বন-জঙ্গলে ঘুরে দেখবেন বলে মেক্সিকো গেলেন তিনি। সেখানে দেখা পেয়ে যান বিশেষ শ্রেণীর এক টাপিরের। তার নামানুসারে সেই থেকে টাপিরটার নাম দেয়া হলো বেয়ার্ড টাপির। পরে প্রাণীটি সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য হাজির করেন আরেক আমেরিকান প্রকৃতিবিদ ডব্লিউ বি হোয়াইট। আমেরিকানরা সব ধরনের টাপিরকেই ‘দান্তা’ নামে ডাকে। বেয়ার্ড টাপিরকেও একই নামে ডাকা হয়। আক্সাকা ও ভেড়াত্রুজ এলাকায় তার পরিচিতি অ্যান্টেব্যুরো নামে। কোস্টারিকান, পানামানিয়ানল ও কলাম্বিয়ানদের কাছে তার পরিচিতি আবার ‘মাচো ডি মন্টে’ নামে। মাউটেইন কাউ বা পাহাড়ি গরু হিসেবে পরিচিত বেলিজতের কাছে। বিভিন্ন জায়গায় সে আরো যেসব নামে পরিচিত, সেগুলো হল- তাজসেন ইন তাজেতাল- মেক্সিকো; জঙ্গল হসলাকানদোন মায়া; বিগ এনিমেল- তোজোলাবাল; তুলে কায়া- পানামা। বেয়ার্ড টাপিরের মুখের রঙ ক্রিম ক্রিম। গলা ও চিবুকে কালচে দাগ থাকে। চোখের ওপরের অংশের রঙ গাঢ় বাদামি থেকে ধূসর বাদামি। মেক্সিকো থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত সম্ভবত বেয়ার্ড টাপিরই সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। দিন-রাত বলে কথা নেই, এরা ব্যস্ত থাকে সব...